কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ কন্যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এক পাষণ্ড বাবা-মা। স্কুলছাত্রী কন্যাকে হত্যার অভিযোগে বাবা জাহিদুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ মার্চ) রাতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত জাহিদুল ইসলাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কাগজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। হত্যার শিকার জান্নাতি খাতুন (১৫) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী এবং জাহিদুলের কন্যা।
জেলা পুলিশ জানায়, জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রতিবেশী মজিবর রহমানের ৩২ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে জাহিদুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে নিজের স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীর সহায়তায় গত শনিবার গভীর রাতে কন্যা জান্নাতিকে রড ও দা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপায়। পরে তার নিথর দেহ ভুট্টাক্ষেতে ফেলে খড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে দেন তারা।
ঘটনার পর নিহত জান্নাতির চাচা খলিল হক (৫৫) বাদী হয়ে কুড়িগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর কুড়িগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ ও ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্তের মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যেই তারা ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন।
পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে নিহতের বাবা জাহিদুল ইসলাম (৪৫), মা মোর্শেদা বেগম (৩৮) এবং চাচী শাহিনুর বেগম (৪৫)-কে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ওসি ডিবি বজলার রহমান জানান, “নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে কাজ করেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করেছি।”