নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ২৬শে মার্চ, ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে অনন্য এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি। সেই আহবানে স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই শুরু করে বীর বাঙালি। বাংলাদেশ নামের স্বাধীন রাষ্ট্রের যাত্রা শুরু হয় আজকের দিনেই।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী যখন অপারেশন সার্চ লাইটের নামে বাঙালি নিধনে মেতে ওঠে, তখনই বাংলাকে পাকিস্তানী হায়েনাদের কবল থেকে মুক্ত করতে স্বাধীনতার ডাক আসে আজকের দিনে। যদিও স্বাধীনতার আহবান সূচিত হয়েছিল তারও প্রায় তিন সপ্তাহ আগে, ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকণ্ঠের ঘোষণায়।
মুক্তির আকাক্সক্ষায় লড়াইয়ের জন্য তৈরি হয়েই ছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙালি। ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরুর পরই প্রিয় মাতৃভুমিকে স্বাধীন করতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, বঙ্গ সন্তানেরা।
২৬শে মাচের্র প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা দেন। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে সেই ঘোষণা ইপিআরের ওয়্যারলেসে ছড়িয়ে যায়, বিভিন্ন জেলায়। চট্টগ্রাম থেকে প্রথম এই ঘোষণা পাঠ করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা- এম এ হান্নান।
পরে, চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকেও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হতে থাকে। যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সর্বস্তরের মানুষ। এর দু’সপ্তাহের মধ্যেই ১৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মুজিব নগরের আম্রকাননে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুজিব নগর সরকারের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধ।
তাদের নেতৃত্বে ৯ মাস ধরে পরিচালিত হয় স্বাধীনতা যুদ্ধ। রক্তক্ষয়ী সেই সংগ্রামের মধ্যদিয়েই আসে নতুন ভোর।
দু’লাখ নারীর সম্ভ্রম আর তিরিশ লাখ শহীদের রক্তে চরম মুল্য দিয়ে আসে প্রিয় স্বাধীনতা।