পিরোজপুরে গরুর পেটের ভিতর বাচ্চাসহ জবাই করে মাংস বিক্রি।


ষ্টাফ রিপোর্টারঃ পিরোজপুর সদর উপজেলার ৬নং শারিকতলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড, দঃ রানীপুর গ্রামে বকনা গরুর পেটে বাচ্চাসহ জবাই করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেছেন কষাই বাবুল সহ তার সহযোগী লোকমান হাং এবং বারেক শেখ। স্থানিয় সূত্রে জানা যায় যে ঈদের আগের দিন রাত ১টার দিকে পেটে বাচ্চাসহ গরু জবাই করেন এবং পরবর্তীতে পেটের ভিতর বাচ্চা খালে ফেলে দিলে বাচ্চাটি ভাসতে ভাসতে গিয়ে খালের পাসে ওঠে ঈদের দিন সকাল ১০টার দিকে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য, জহিরুল ইসলাম লাবু বেপারীর শিকারী কুকুর বাচ্চাটি খাল থেকে তুলে এনে জনলোকের সামনে ফেলে এবং সকলের দেখা শেষ হয়ে গেলে কুকুরটি বাচ্চাটি নিয়ে আবার খালে ফেলে দেয়।
বাচ্চাটি পশু ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে পশু ডাক্তার বলেন গরু গাভীন হওয়ার হওয়ার বয়স আনুমানিক অন্তত ৫ থেকে ৬ মাস হয়েছে। ক্রেতারা গরুর মাংসের টাকা দিবেনা বলে দাবি করলে লোকমান হাং বলেন বাচ্চা হইছে তো কি হইছে ১টা হইছে ১০টা তো হয়নাই তিনি আরো বলেন গরুর মাংসের দাম সহ বাচ্চার দাম ও দিতে হবে। এলাকাবাসী বলেন গরুর পেটে বাচ্চা আছে এটা জেনে ভোর হওয়ার আগেই ক্রেতাদের বাড়ি মাংস পৌছে দেন তারা। এলাকাবাসী বৃত্ত নিউজকে জানান বাবুল একজন ধার্মিক লোক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পরেন কিন্তু তার পক্ষে এরকম শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা ঠিক হয়নি।

ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বৃত্ত নিউজের একজন প্রতিবেদক ঘটনা স্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে প্রকাশ করে যে বাবুল সহ তার সহকর্মীরা পরিকল্পিত ঘটনার সাথে সম্পূর্ন ভাবে জরিত এবং এলাকাবাসী বৃত্ত নিউজকে আরো জানান ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে গরু দেখতে চাইলে তারা কাউকেই গরু দেখান নি। আর তাই এলাকাবাসী বলেন যে এরকম পরিকল্পিত শাস্তিযোগ্য অপরাধের কঠিন থেকে কঠিনতম বিচার চাই আমরা। তারা আরো বলেন যে, পিরোজপুর সদর থানার কাছে আমাদের একটাই দাবি এরকম শাস্তিযোগ্য অপরাধের দৃষ্টান্তি মূলক বিচার চাই। যেন আর কেউ কখনো এরকম অপরাধ কখনো করতে না পারে।

Categories: বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,সারাদেশ

ব্রেকিং নিউজ