প্রধানমন্ত্রী আমাকে বিশ্বাস করে মন্ত্রিপরিষদে স্থান দিয়েছেন, সেই মর্যাদা আমি রক্ষা করব। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, সেই নীতিতে বিশ্বাস করি বলেই দায়িত্ব পালনকালে এক পয়সা ঘুষ খাব না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ বুধবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এর সেমিনার কক্ষে পিরোজপুর জেলার সাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিকতায় বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গৃহায়ণমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, দায়িত্ব চিরস্থায়ী। সকলের জন্য কাজ করা হচ্ছে দায়িত্ববোধ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে আমি বিশ্বাস করি। আমি এক পয়সা ঘুষ খাব না, কমিশন নেব না, অনিয়মে সম্পৃক্ত হব না, কোনো অনিয়মকে আমি সমর্থন করব না।
তিনি বলেন, অনিয়ম, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং এর বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করুন। কে রক্তচক্ষু দেখালো, হুমকি দিলো, সেটা বিষয় নয়। সরকারের কেবিনেট মন্ত্রী হিসেবে আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার আত্মীয় স্বজন বা আমার অন্যায়ের বিরুদ্ধে হলেও নিউজ করতে আমি আপনাদেরকে উৎসাহিত করছি। তবে কারো দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য যেন সংবাদ পরিবেশন না হয়। সে সংবাদে সরকারি দল বা বিরোধী দলের নেতা, যেই হোক তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। গভীরে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধান করে সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন সংবাদ পরিবেশন করা সাংবাদিকের অধিকার, কৃপা নয়। তথ্যের অবাধ প্রবাহে শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন। এ কারণে তিনি তথ্য অধিকার আইন করেছেন, যাতে যেকোনো মানুষ তথ্য পেতে পারে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সংবাদমাধ্যমকে এত বেশি প্রসারিত করা, ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে এত বেশি লাইসেন্স দেওয়া, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াকে এত বেশি কাজ করার সুযোগ দেওয়া, শেখ হাসিনার বাইরে আর কেউ কোনদিন দেয়নি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও ছিল পিআইবিকে কার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করা।
সংবাদ এ সমাজ ব্যবস্থাকে সভ্য করার জন্য, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ইভটিজিং মুক্ত করার জন্য, মানবাধিকার ও সভ্যতাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এবং অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য বলেন গৃহায়ণমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা নাগরিক দায়িত্বের বাইরে গিয়ে একটা বড় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। নানা রকম প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে আপনাদেরকে কাজ করতে হয়। মফস্বলের সংবাদাতাগণের কাছে সাংবাদিকতা পেশার চেয়ে নেশা হয়ে যায়। এটাকে আমি পবিত্রতার সঙ্গে দেখি। সমাজব্যবস্থায় সাংবাদিকদের উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব আছে। আপনারা সেটা পালন করে চলেছেন। তবে শেখার শেষ নেই, অর্জনেরও শেষ নেই। সে জায়গা থেকে আপনারা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।