রোবকা ও হিজাব পরায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মুসলিম শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা কেন বেআইনি ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে হিজাব পরা শিক্ষার্থীদের হয়রানির ঘটনায় জড়িত স্কুল বা কলেজের কর্তৃপক্ষ/ প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর শরীফ ও আইনজীবী মো. আহসান। রাষ্টপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল।
সম্প্রতি ‘চট্টগ্রামে বোরকা পরায় স্কুলছাত্রী ও অভিভাবক নাজেহাল’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যেনাত পত্রিকার সম্পাদক আল্লামা মোহাম্মদ মাহবুব আলমসহ দুজন।
রিটে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোরকা ও হিজাব পরায় মুসলিম শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়।