বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দলীয় গঠণতন্ত্র উপেক্ষা করে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে ৩২ বয়সী এক বেসরকারী চাকরিজীবী যুবককে সভাপতি করে কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়াও এ কমিটিতে যাদের পদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে আছে হত্যা মামলার আসামী, ইয়াবা ব্যবসার মামলা, বিবাহিত ও অছাত্র বলে অভিযোগ করেছে কয়েজন বদবঞ্চিত ইন্দুরকানী ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
পদবঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের অভিযোগে জানাযায়, গত ১০ জুলাই পিরোজপুর জেলার ছাত্রলীগের সভপতি মো: জাহিদুল ইসলাম টিটু ও সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক স্মাক্ষরিত ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটিতে আতিকুর রহমান ছগির কে সভাপতি ও মোঃ ইস্রাফিল খান নেওয়াজ কে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটি ঘোষনার পরপরই স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করছে যে কমিটিতে যে আতিকুর রহমান ছগির কে সভাপতি ঘোষনা করা হয়েছে তার ভোটার তালিকা অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৮৮ সালের ১৬ মার্চ। সেই হিসেবে তার বয়স ৩২ বছরেরও বেশি। এছাড়া আতিকুর রহমান ছগির স্থানীয় ছাত্রলীগের কোন কার্যক্রমে দীর্ঘদিন যাবত অনুপস্থিত ছিল এবং ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করতো। এ কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান শুভ এর বিরুদ্ধে রয়েছে একটি এনজিও কর্মী হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা, কমিটির আরেক সহ-সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন বাবু এর এর আগে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিল এবং অনেক আগেই তিনি লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছেন। এছাড়াও কমিটির বেশ কিছু পদধারীর নামে আছে বিভিন্ন অভিযোগ।
ইন্দুরকানী ছাত্রলীগের কর্মী আলী হাসান ও সানজিদুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন যাবত ছাত্রলীগের জন্য নিবেদিত ও ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে এ কমিটিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠতন্ত্র উপেক্ষা করে পদ দেয়া হয়েছে। তাই এ কমিটির বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের জন্য ত্যাগী ও বিগত দিনে সক্রীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ কমিটি করা উচিত।
অভিযোগের বিষয়ে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক জানান, ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির কোন সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম টিটু অভিযোগের বিষয়ে জানান, ইন্দুরকানী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান ছগিরের যে ভোটার তালিকায় জন্ম তারিখ নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা ভুল ছিল। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে সঠিক জন্ম তারিখ আছে। এছাড়া অন্য সকল অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।