আমার বন্ধু রাজীব থার্ড ডিভিশন পেয়ে ইমপ্রুভমেন্ট দিতে গিয়েছিলো।
সেখানে ফেল করেছে।
পরেরবার রেজাল্ট পেয়ে সে বুঝতে পেরেছে আগেরটাই ভালো ছিলো।
দুধে প্রথমবার পরীক্ষায় পাওয়া গেলো ক্ষতিকর উপাদান।
প্রস্তুতকারী কোম্পানীগুলো হইহই করে উঠলো।
রাজীবের মতো গেলো ইম্প্রভমেন্টে, মানে আবার পরীক্ষা।
সেখানে পাওয়া গেলো আরও বেশি ক্ষতিকর উপাদান।
এদেশে গভীরে যেতে নেই।
সাগরের গভীরে গেলে তেল মিলবে, মাটির গভীরে গেলে গ্যাস।
ঘটনার গভীরে গেলে স্বামী হত্যার দায়ে মিন্নিকে অপরাধী হিসেবে পাওয়া যায়, আরও গভীরে গেলে মিন্নির চেয়েও বড় কাউকে।
তাই প্রশাসন আর যায় না গভীরে।
যে কারণে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে যায় না সরকার। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে মেয়র।
আমরা শুধু আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যাই নিয়মিত।
কখনও একে। কখনও ওকে।
কখনও বিচার বহির্ভূত হত্যাকে জায়েজ করি, কখনও গণপিটুনির বিরুদ্ধে দাঁড়াই।
আসলে আমরা কখন কী চাই, নিজেরাও জানিনা।
আমরা জানিনা আমাদের ক্রিকেট কোচ কে হবে? কারণ, আমরা দেশি কোচও চাই। বিদেশীও।
আমরা ব্যস্ত ক্রিকেটারদের কোচ নিয়ে। কে আমাদের জানাবে আমাদেরও কোচ লাগবে।
বিকারগ্রস্থ মানসিকতা থেকে বের করে দিতে পারে এমন কোচ।
কোন দেশে এমন কোচ আছে কে জানে?
সরকারের উচিত একদল কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানো। যারা এমন কোচ খুঁজে নিয়ে আসবে।
বিদেশে যাবার ব্যাপারে অতি উৎসাহী দলকেই সেই কাজে নিয়োগ দিতে হবে।
যারা তরুণ বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ দিতে নাসায় গেলেন তাদের ছাড়াই।
বিজ্ঞানবিষয়ে এমন অনেক কিছুই হয়।
এমন গল্পও আগেও শুনেছি। একজনকে বিদায় দিতে দুই বিজ্ঞানী এসেছিলেন রেলস্টেশনে।
বিদায় দেওয়া লোকটিকে রেখে ভুল করে বিজ্ঞানীদ্বয়ই ট্রেনে ওঠে চলে গিয়েছিলেন তখন।
অনেক কিছুই এমন যাবে, আসবে।
সেসব নিয়ে ভাবনার কিছু নাই। কী আছে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে।
যেমন ১৫ দিনে ২৭ হাজার কোটি টাকা চলে গেছে তা নিয়ে এতো ভাবনার কী আছে?
রাজশাহী কারাগারে যে ১ হাজার ৯৬৩ জন হাজতি ও ৮০৩ জন কয়েদিকে বালিশ দেওয়া হলো সেটা নিয়ে তো কেউ কথা বলছেন না।আ
পনারা এমন কেনো?
– ইস্তিয়াক আহমেদ