মহিষের শিং তেল পালিশের ব্যয় ১৬ লাখ টাকা !


ভারতের বিহার রাজ্যে আশির দশকের একটি পশুখাদ্য মামলায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ তথ্য। ১৯৯০-৯১ সাল থেকে ১৯৯৫-৯৬ পর্যন্ত ছয় বছরে মহিষের শিং পালিশ করার জন্য কেনা হয়েছিল মোট ৪৯ হাজার ৯৫০ লিটার সরিষার তেল। এর জন্য বিহার সরকারকে গুনতে হয়েছে ১৬ লাখ টাকা! রাজ্যের বিধানসভার বাদল অধিবেশনে এসব তুলে ধরেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি।

বিলে ১৯৭৭-৭৮ সাল থেকে ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত সময়ের তথ্যও তুলে ধরা হয়। এতে উঠে আসে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির কথাও। তৎকালীন সময়ে চমকপ্রদ উপায়ে সরকারি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়।


এতে বলা হয়, ১৯৯০-৯১ সাল থেকে ১৯৯৫-৯৬ পর্যন্ত ছয় বছরে মহিষের শিং পালিশ করার জন্য কেনা হয়েছিল মোট ৪৯ হাজার ৯৫০ লিটার সরিষার তেল। এর জন্য বিহার সরকারকে গুনতে হয়েছে ১৬ লাখ টাকা!

সে সময় হটওয়ার্ক মিল্ক সাপ্লাই কাম ডেয়ারি ফার্মের ম্যানেজার জ্যানুয়েল ভেঙ্গরাজ ভুয়া বিল দেখিয়ে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। এই দুর্নীতিতে অনেক রাজনৈতিক নেতারা ও আমলারা জড়িত ছিলেন।

সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, দুধ ও মাংস পাওয়া যায় এমন প্রাণীদের খাবারে ১০ শতাংশ হলুদ ভুট্টা মেশানোর দরকার ছিল। আর তার খরচ দেখানো হয়েছে ১৫৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ওই টাকায় প্রয়োজনের তুলনায় ১১৫ শতাংশ বেশি হলুদ ভুট্টা কেনা যেত।

এছাড়া পশুখাদ্যে ১৫ শতাংশ আমন্ড খৈল মেশানোর কথা। তার খরচ দেখানো হয়েছে সাত কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এই টাকায় প্রয়োজনের থেকে ৩৩ গুণ বেশি আমন্ড খোল কেনা যেত।

ভারতে পশুখাদ্য মামলায় এমন তথ্য নতুন কিছু নয়। ওই দুর্নীতির মামলায় এখনও কারাভোগ করছেন অ-বিভক্ত বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব।


Categories: জাতীয়,টপ নিউজ,বিদেশ,ব্রেকিং নিউজ

ব্রেকিং নিউজ