ভোলায় ঈদের আগের রাতে মেহেদি দিয়ে হাত রাঙাতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১২)। অসহায় ওই কিশোরী এখন জীবন-মৃত্যুর মাঝে ছটফট করছে । স্থানীয়রা ধর্ষিতাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় বর্তমানে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর সিফলী গ্রামের কৃষক মোঃ হানিফ (৪০) ঈদ উপলক্ষে তার আদরের দুই মেয়ের জন্য বাজার থেকে মেহেদি কিনে আনেন। রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাদের বাবা গরু বিক্রি করার টাকা আনতে ভোলা শহরে যান। বাবা শহরে চলে যাওয়ার পর দুই বোন রাত ৮টার দিকে পাশ্ববর্তী দুঃসর্ম্পকের আত্মীয় মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে যায়। ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া ভোলা আদালতের মুহুরী আল আমিন (২৫) ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় আলমিনের স্ত্রী ঘরে না থাকায়। এই সুযোগে হঠাৎ করে ওই ছাত্রীকে আলামিন ও তার সহযোগী বখাটে যুবক মঞ্জুর আলম (৩০) জাপটে ধরে হাত-পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে মুমূর্ষু অবস্থায় পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষিতার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মমিনুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে, ধর্ষিতার বয়স কম হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধর্ষিতার গোপন অঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ডাক্তার না থাকায় সেলাই দেয়ার মতো অবস্থাও ভোলায় নেই। ধর্ষিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (আজ) বরিশালে প্রেরণ করা হবে।’
ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত আল আমিন ও মঞ্জুর আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।