স্ত্রী চলে যাওয়ায় শ্যালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে অপহরণের প্রায় পাঁচ মাস পর অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সাথে স্কুলছাত্রীর ভগ্নিপতি ফেরদৌস শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ফেরদৌস শেখসহ আটজনকে আসামি করে নাজিরপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় বছর আগে ফেরদৌস শেখ অপহরণকৃত স্কুলছাত্রীর বড় বোন মাহমুদা আক্তার আঁখিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। ওই কন্যার বয়স যখন দুই মাস তখন তাকে ফেলে আঁখি অন্য এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে ওই ছেলেকেই বিয়ে করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলার উত্তর দীর্ঘা গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে চলতি বছরের ১২ মার্চ স্কুলে যাওয়ার পথে একই গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে ফেরদৌস শেখ ভুল বুঝিয়ে অপহরণ করে। ফেরদৌস শেখ সম্পর্কে ওই ছাত্রীর ভগ্নিপতি  হয়। অপহরণের পর  বিভিন্ন স্থানে রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেরদৌস শেখ। এ ঘটনায় অপর আসামিরা তাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। এ অভিযোগে ছাত্রীর বাবা শুক্রবার রাতে নাজিরপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। কিন্তু অপহরণকারী ফেরদৌস শেখকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে আজ শনিবার সকালে ফেরদৌস শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাজিরপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,  শনিবার ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপহরণকারী ফেরদৌস শেখকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


Categories: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,রাজনীতি,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.

ব্রেকিং নিউজ