পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীতে শ্বশুরের যৌন লালসার শিকার হয়েছেন তিন পুত্রবধু। স্বরূপকাঠী উপজেলার ১নং বলদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ বাদল মিয়ার (৫৫) বিরুদ্ধে তার পুত্রবধূকে ধর্ষণ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ধর্ষিতা পুত্রবধূ অভিযোগ করেন, শাশুড়ী বেড়াতে গেলে ঐদিন দুপুরে বাদল মিয়া তার ঘরের দোতালায় বসে প্রথম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ছেলে ঢাকা থাকার সুবাদে বাদল মিয়া ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই তাঁর পুত্রবধুকে ধর্ষন করত এবং তাঁর স্বামীকে না বলার জন্য হুমকী দিত যে বললে তোকে আমি পাগল বানিয়ে ফেলব।
ধর্ষক বাদল মিয়া সোহেলের ১ম ও ২য় স্ত্রীর সাথে একই কাজ করত বিধায় তারা শশুরবাড়ী ছেড়ে চলে যায়। এলাকার লোকজনের সাথে আলাপ করলে জানা যায়, বাদল মিয়া একজন খারাপ প্রকৃতির মানুষ বর্তমানে সে ওঝা সেজেছে এবং মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা উপার্জন করছে। নিলা তাঁর স্বামীকে আঁকার ঈঙ্গিতে বোঝাতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায় নিলা যখন আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে তখন তাঁর শশুর বাড়ীর লোকজন বাধাঁ প্রদান করলে ঘটনাটি ওখানেই থেমে যায়।
কিন্তু সুচতুর বাদল মিয়া তাঁর এই অপকর্মের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তাঁর পুত্রবধুকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে তাঁর সহযোগী বলদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর মোঃ আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় নিলার নানা-নানিকে খবর দেয়। পরে তারা আসলে মোঃ আলমগীর হোসেন কাজী মোঃ মেসবাহ উদ্দিনকে আসার জন্য বলে।
কাজী মেসবাহ আসার পর বাদল মিয়া নিলার নানিকে বিভিন্ন তালবাহানা করে বলে আপনার নাতিনকে নিয়ে যান। পরে যদি কোন অঘটন ঘটে তাঁর দায়িত্ব আমরা নিতে পারব না।বলে একটি স্বাক্ষর রাখে যা পরবর্তিতে জানা যায় ওটা খোলা তালাক।
এই কাজের জন্য মোঃ আলমগীর হোসেন ৫ হাজার টাকা দাবী করলে বাদল মিয়া ২ হাজার টাকা দেয়। নিলা বর্তমানে তাঁর নানার বাড়ীতে আছে। নিলার নানা বাড়ীর লোকজন নিলার শশুরের এই অপকর্মের বিচারের দাবি জানান।