স্বজনরা জানান, কয়েকমাস ধরে স্কুলে যাওয়া আসার পথে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা শহরের দশম শ্রেণির ছাত্রী রুকাইয়া রুপাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো একই এলাকার বখাটে তামিম খান। এতে রাজি না হওয়ায় রুপার একটি ছবি এডিট করে বিভিন্ন জনের ম্যাসেঞ্জারে পাঠায় তামিম। শুক্রবার বিকেলে প্রেমে রাজি না হওয়ায় এডিট করা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় ওই বখাটে। বাড়ি ফিরে পরিবারকে বিষয়টি জানালেও ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমের ওষুধ খায় রুপা। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামি করে রূপার বাবা মামলা করেন। পরে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ ডিবির সহায়তা প্রধান আসামি তামিমকে গ্রেফতার করি। অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।