পিরোজপুর বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান মহারাজ সহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদ ও সমিতির বর্তমান অবস্থান সাংবাদিকদের অবহিত করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পিরোজপুর বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান মহারাজ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ৫ অক্টোবর শনিবার একটি মহল পরোজপুর বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান মহারাজ সহ সমিতির বিভিন্ন কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভাবে চাঁদা আদায়ের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনে যে মিথ্যা প্রচারনা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। একটি কুচক্রী মহল সমিতির সভাপতি সহ সমিতির বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও প্রশাসনিক ভাবে হয়রানি করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি তার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়ীক কাজের জন্য বেশির ভাগ সময়ই পিরোজপুরের বাহিরে অবস্থান করেছেন। তাই সমিতির গাড়ী চলাচলের রোটেশন, অলটার স্লিপসহ যাবতীয় কার্যক্রম সাধারণ সম্পাদকের উপর ন্যাস্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় যে, তার স্বাক্ষর স্ক্যান করিয়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হালদার বিগত বছরগুলিতে রোটেশন করিয়া আসিতেছে, যাহা আমার সম্পূর্ণ অগোচরে। রোটেশনের গাড়ী কোথায় চলাচল করিবে, কে সরাসরি বা কে লোকাল সার্ভিসে চলিবে তাহা সাধারণ সম্পাদকের জানার কথা।
এখন যে সকল অনিয়মের অভিযোগের কথা বলা হইতেছে তা এর আগে কোন গাড়ীর মালিক তাকে লিখিত বা মৌখিক ভাবে কখনো জানায় নাই। তার স্বাক্ষর স্কান করে রোটেশন করার কথা সাধারণ সম্পাদক বাবুল হালদারের কাছে জানতে চাইলে সে তাহার কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই। এমনকি দূর পাল্লার গাড়ী হইতে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে গত ৮ বছরের মধ্যে কোন মালিক তাকে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করে নাই বা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কখনো কোন চাঁদাবাজির হইতেছে এ সম্পর্কে ও অবহিত করে নাই। সাধারণ সম্পাদক সমিতির সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য বেশির ভাগ সময়ই পিরোজপুরে সমিতিতে থেকে গাড়ীর চলাচল ও চাঁদার বিষয় দেখাশোনা করেছে। তাই এ বিষয়টি আমার অগোচরে যদি ঘটে থাকে তা হলে সাধারণ সম্পাদকের এই বিষয়েটি আগে জানার কথা ছিল। যে মালিকগণ অভিযোগ করেছে চাঁদা দিয়েছে কিন্তু বিগত দিনে চাঁদার বিষয়ে কখনোই তারা তার কাছে কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করে নাই। এছাড়া দূরপাল্লার পরিবহনের মালিকবৃন্দ চাঁদার বিষয়ে অত্র সমিতিতে বা প্রশাসনের নিকট কোন অভিযোগ করে নাই। আরো উল্লেখ করতে চাই যে, ফেরীঘাট থেকে সিরিয়ালের চাঁদার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, এ সমিতির কোন গাড়ীর কাছ থেকে ফেরীঘাটের সিরিয়ালের চাঁদা আদায়ের ঘটনা নাই। তিনি আরো জানান, বর্তমান কমিটির কোন খাতা-কলমের কমিটি নয়। সমিতির মালিকদের উপস্থিতিতেই সকলের সম্মতিতেই এ কমিটি করা হয়। এছাড়াও পিরোজপুর বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি শ্রম অধিদফতর, খুলনা শাখা হইতে সরকারি রেজিষ্টার ভুক্ত। যার সরকারি রেজি: নং: খুলনা-৯৯৬। পিরোজপুর বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি নাম করণ শ্রম অধিদফতরের গেজেট অনুযায়ী করা হয়েছে আর শ্রম অধিদফতর হতে প্রাপ্ত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান কমিটি সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, বিগত দিনে পিরোজপুর বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতি সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন খানের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে মরহুম সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব 🙂 জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ ১/১১ এর সময় সেনাবাহিনীর কাছে অভিযোগ করলে সেই সভাপতি নিজেই রাতের অন্ধকারে পিরোজপুর থেকে পালিয়ে যায়। অতিব লজ্জার সাথে বলতে চাই যে তিনি সভাপতি থাকা কালীন সময়ে এ সমিতির মালিকানাধীন একটি মাইক্রোবাস ছিল তাও তিনি বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করেছেন। এমনকি তিনি পিরোজপুরে থেকে রাতের আধারে পালিয়ে যাওয়ার পরপরই বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হালদার তার বিরুদ্ধেও ৪০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করে ছিলেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে পিরোজপুর বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান মহারাজ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন নান্না, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাজী, কোষাধ্যক্ষ রিপন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হক খোকন, সদস্য নুরুল ইসলাম।