বরিশাল-খুলনা মহা সড়কের পিরোজপুরের কচাঁ নদীর উপরে বেকুটিয়ায় ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজ করেছে চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্রিজ গ্রæপ কো: লি: নামের প্রতিষ্ঠান। সেতুর নির্মাণ কাজে এই প্রতিষ্ঠানে ৫৭ জন চীনের নাগিরক বিভিন্ন পদে কাজ করেছে পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমিরমারা এলাকায় থেকে। তাই তাদের করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মুক্ত রাখতে ও করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য নিয়মিত ডাক্তারী পরীক্ষা করছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
আজ সোমবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দুই জন ডাক্তারের একটি মেডিকেল টিম কুমিরমারা এলাকায় সেতু নির্মাণ কাজে নিয়োজিত চীনের নাগরিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
এ বিষয়ে মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসক ডা.সানজিদা আজাদ সিফা জানান, কুমিরমারা চায়না ব্যারাকে যে সকল চায়নিজ নাগরিকরা আছেন তাদের কেহ এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা এমন কোন লক্ষন নেই। এছাড়া তাদের ভিতরে কেউ কোন অসুস্থ নন। এমনকি এই করোনা ভাইরাস প্রভাব বিস্তারের সময় কেউ এই স্থান থেকে চীনে যায়নি এবং কেউ চীন থেকে আসেনি।
মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসক ডা. তারিক আজিজুল্লাহ জানান, সিভিল সার্জনের নিদের্শে এদের সাথে কথা বলে জানাগেছে তাদের তেমন কোন সমস্যা নেই। তাই তাদের নিয়মিত চলাফেরার জন্য মাক্স ব্যবহার সহ করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমন কোন লক্ষন দেখা দিলে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে তাদের জন্য আলাদা বিভাগ খোলা হয়েছে বলেও তাদের জানানো হয়েছে।
বেকুটিয়া সেতু নির্মানের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ওয়াং চেঙ্ক উইং জানান, এখানে যারা কাজ করছে তারা ডিসেম্বর মাস থেকে কাজ করছে। এর মধ্যে এখান থেকে কেউ চীনে যায়নি এবং কেউ নতুন করে আসেনি। তাদের এখানে কেউ অসুস্থ হয়নি এখনো। করোনা ভাইরাস রোধে তার সকলে নিয়ম মেনে চলাফেরা করছে।