২৩শে জুন ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইনের সমাপনি অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইনের ম্যাপিং কার্যক্রমে নার্সিং ইনস্টিটিউট, পিরোজপুর এর ক্যাশিয়ার মোঃ কামাল হোসেন অংশগ্রহন করেন। ৩১০০০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ ১০০ জন নির্বাচিত করা হয় এবং শীর্ষ ১০০ জন তরুণের মধ্যে মোঃ কামাল হোসেন স্থান করে নেয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শীর্ষ ১০০ জন তরুণের নাম ঘোষনা করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই এবং প্রেনিয়র ল্যাব ও গুগলের সমন্বয়ে গ্রামীণফোনের উদ্যোগে এই ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইনে অবদান রাখা শীর্ষ ১০০ জন তরুণের মধ্যে স্থান করে নেয়ায় ডিজিটাল ম্যাপিং কার্যক্রমের সমাপনি অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সহ দেশ বরেণ্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহন করেন। নার্সিং ইনস্টিটিউট, পিরোজপুর এর ক্যাশিয়ার মোঃ কামাল হোসেন এর আগে সরকারের বিভিন্ন ডিজিটাল কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং কর্মক্ষেত্রেও তিনি তার মেধা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এবং একাধিক বার বেষ্ট ইমপ্লয়ী অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি বৃত্ত নিউজকে বলেন, ঘরে বসে পথ দেখানো সম্ভব এই স্লোগানকে মনে প্রানে বিশ্বাস করে আমার নিজ জেলা পটুয়াখালী এবং আমার কর্মস্থল পিরোজপুর এই দুই জেলার বিভিন্ন স্থান গুগল ম্যাপে যুক্ত করেছি মানুষ যাতে তার প্রয়োজনীয় তথ্য ঘরে বসে পায়। করোনা ভাইরাস এর মধ্যে বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ ক্যাম্পেইনের ম্যাপিং কার্যক্রমে সফলতার সাথে নিজেকে তুলে ধরতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে।। ভবিষ্যতে সরকারের ডিজিটাল কার্যক্রমে আমার ভূমিকা অব্যাহত থাকবে ।
সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, ঘরে বসে বিভিন্ন স্থানের লোকেশন জানা এবং গ্রাম ও শহরাঞ্চলের নাগরিক, স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি এবং ই-কমার্স ডেলিভারি এজেন্টদের ম্যাপ দেখে নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে বের করার সহায়তায় গুগল ম্যাপস এবং ওপেন স্ট্রিট ম্যাপ আরও সমৃদ্ধ করতে ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ নামে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমে প্রায় ৩১ হাজার নিবন্ধনের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার ম্যাপ পোস্ট পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ফেইসবুকে ৮ দশমিক ৫ মিলিয়নের বেশি রিচ এবং ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়নের বেশি ইমপ্রেশন পাওয়া গেছে। সারা বাংলাদেশের তরুণরা বাড়িতে অবস্থান করেই এই পুরো ম্যাপিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। ম্যাপিং কার্যক্রমে অবদান রাখা শীর্ষ ১০০ জন তরুণকে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে দুই মাসের জন্য ১০ জিবি (৫ জিবি ৩০ দিন + ৫ জিবি ৩০ দিন) ইন্টারনেট দেয়া হয়েছে। এটুআই এর পক্ষ থেকে একটি ক্রেস্ট, একটি টিশার্ট, একটি ক্যাপ প্রদান করা হবে।
অন্যদিকে শীর্ষ ২০০ জন ম্যাপার এটুআই-এর ‘একশপ’ প্লাটফর্মের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন। সেই সাথে ৩১ হাজার রেজিস্টার্ড ম্যাপারকে ই-সার্টিফিকেট দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এ ক্যাম্পাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫,০০০ হাসপাতাল, ১৬,০০০ ফার্মেসি এবং ২০,০০০ মুদি দোকান সন্নিবেশিত করার পাশাপাশি ৮৭০টি রাস্তা ম্যাপে যুক্ত হয়েছে। ডিজিটাল ম্যাপ হালনাগাদ করার কারণে ই-কমার্স ডেলিভারি সুবিধা তৈরির সাথে সাথে অসংখ্য নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের দূরত্ব কমিয়ে আনতে এই ম্যাপিং কাজে লাগবে এবং দীর্ঘমেয়াদে জাতিকে নানাভাবে সহযোগিতা করবে।
তিনি একজন ফ্রিল্যান্সার। MKH Media নামে তার একটি ইউটিউব চ্যানেল ও আছে।