পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করে ইন্দুরকানীতে চলছে ইট ভাটা


পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের চর খোলপটুয়া এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করে কাঠ দিয়ে ইট ভাটা পুড়িয়ে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা। যার ফলে ক্ষতিকারক অতিরিক্ত কার্বন বের হয়। যে কারণে, মানুষসহ প্রানীকুল রয়েছে চরম ঝুঁকিতে।


জানা গেছে , পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানার বালিপাড়া ইউনিয়নের কচা নদী সংলগ্ন চর খোলপটুয়ায় রয়েছে একে একে ৫ টি ইটভাটা। এই ভাটা গুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র থাকলেও। কিন্ত নদীর ঠিক মোহনায় সংলগ্ন যেখানে নদী ভাঙন চলছে এবং সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ন যে যায়গা ঠিক সেখানেই মাটি কেটে ফসলি জমি নস্ট সহ মাটির উপরি ভাগের এটেল সমৃদ্ধ স্থর বিনস্ট করে একদল সুদি কারবারী ভুমিদস্যু যাদের মধ্যে অধিকাংশই জামাত বি এন পির চিহ্নিত সদস্য, তারা সরকারী যাবতীয় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই মাটি কাটা সহ ইট ভাটার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে যা প্রায় শেষ পর্যায়। কে বি আই ইট ভাটার ( কচা ব্রিক ইন্ড:) মালিক শুকুর শেখ যাবতীয় নিয়ম নিতীর কোন তোয়াক্কা না করেই, কাঠ দিয়ে পোড়াচ্ছে ইট। পাশাপাশি কচা নদীর মোহনা সংলগ্ন এই ইট ভাটাটি থাকার ফলে। সেখানের মাটি কাটায় ভয়াবহ নদী ভাংগনের মূখে যেতে পারে চর খোলপটুয়ায়। এছাড়া অবৈধ্য উপায়ে এই মাটি কাটার ফলে ফসল বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। এলাকবাসী অভিযোগ করেন, আসছে বর্ষা মৌসুমে এসব কারণে ভয়াবহ নদী ভাংগনের মূখে পরতে পারে। এলাকা বাসী অভিযোগ করেন, শক্কুর এলাকার প্রভাবশালী হওয়া তার এহেন কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে ও কোন কাজে আসছে না৷
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে কে বি আই ইট ভাটার মালিক শুকুর শেখের সাথে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইল ফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।


এ ব্যাপারে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সরকার বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এরপর নিয়মশৃঙ্খলা না মেনে যদি এহেন কাজ করে থাকে। অবশ্যই এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


Categories: টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ

ব্রেকিং নিউজ