গরমে প্রচুর পরিমাণে পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এ ছাড়া এবার রমজান এসেছে গ্রীষ্মকালে। ফলে দীর্ঘ সময় পানি পান না করার কারণে শরীরে পানিস্বল্পতা তৈরি হয়। এটি পূরণে তরমুজ বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা এই ফলে শতকরা ৯২ ভাগ পানি রয়েছে।
এ ছাড়াও তরমুজের আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তরমুজ ওজন কমাতে সাহায্য করে, চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, লিভারের কার্যক্রম বাড়ায়, পেশি ও স্নায়ুর কার্যক্রম ভালো রাখে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। করোনার এ সময়ে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
* স্বাভাবিক আকৃতির তরমুজ নির্বাচন করুন। এবড়ো-থেবড়ো আকৃতির তরমুজ মানেই হলো ক্ষেতে থাকা অবস্থায় গাছটি পর্যাপ্ত পানি পায়নি। তরমুজে অস্বাভাবিক দাগ থাকলে তা পোকামাকড় বা ছত্রাকের উপস্থিতি নির্দেশ করতে পারে।
* ডিম্বাকৃতির তরমুজের তুলনায় গোলাকার তরমুজ নির্বাচন করুন। ডিম্বাকৃতি বা লম্বাটে তরমুজে পানি বেশি থাকলেও, স্বাদহীন হতে পারে। গোলাকার তরমুজ সাধারণত মিষ্টি হয়।
* তরমুজের উল্টো পাশে খেয়াল করলে হলুদ স্পট বা হলুদ দাগ দেখা যাবে। এটি গ্রাউন্ড স্পট। অর্থাৎ জমিতে বেশি সময় থাকার ফলে হলুদ দাগ তৈরি হয়। হলুদ দাগ বড় হওয়া মানে, তরমুজটি পাকার জন্য জমিতে বেশি সময় থেকেছে এবং এটি মিষ্টি হবে। আর তরমুজের উল্টো পাশে সাদা থাকলে বুঝতে হবে কাঁচা থাকতেই তরমুজ তুলে ফেলা হয়েছে। তবে কিছু তরমুজে গ্রাউন্ড স্পট নাও থাকতে পারে।
* তরমুজের হলুদ অংশে কালো বা খয়েরি দাগ থাকলে, সেই তরমুজ মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
* তরমুজ কেনার আগে কেটে দেখে নিতে পারলে আরো ভালো। এক্ষেত্রে গাঢ় লাল রঙ এবং বাদামী বা কালো বিচির তরমুজ বেছে নিন। তরমুজের ভেতরে সাদা রেখা এবং সাদা বিচি হলে সেই তরমুজ এড়িয়ে চলুন।