দোকান চুরি, টাকা চুরি, মটোরসাইকেল চুরি, সাইকেল চুরি এমন কি ছাগল চুরির চোরও সনাক্ত হচ্ছে পিরোজপুর শহরের পুলিশের লাগানো ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায়। শহরের বিভিন্ন অপরাধ দমনে এবং অপরাধী সনাক্ত করার জন্য পিরোজপুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সর্বক্ষনিক পর্যবেক্ষনের জন্য দেড় শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
পিরোজপুর জেলা পুলিশের তত্ত¡াবধায়নে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান সহ শহরের প্রবেশ পথ গুলোতে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষনের জন্য দেড় শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান।
পিরোজপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, জেলা পুলিশ প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে শহর, বাজার, বাসস্টান্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শহরের গুরত্বপূর্ণ স্থানে দেড় শতাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে।এছাড়া আরো শতাধিক ক্যামেরা লাগনোর কাজও চলমান রয়েছে।আর এই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে বর্তমানে এবং আগামীতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও হত্যাসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরার সাহায্যে পৌর এলাকায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে বিভিন্ন উদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। অলি-গলি, পাড়া মহল্লায় কোথাও কিছু ঘটলে তা অনুসন্ধানে পুলিশকে তা খুঁেজ বের করতে অনেক সমস্যা পোহাতে হতো, তবে এবার পৌর এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধী দ্রæত শনাক্ত করা সহজ হচ্ছে এবং ডিজিটাল মনিটরিং এর মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
পিরোজপুর শহরের ব্যবসায়ী এম এ মুন্না জানান, পুলিশ প্রশাসনের সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগটি সময় উপযোগী উদ্যোগ যার সুফল ইতিমধ্যে পিরোজপুর শহরের ব্যবসায়ীরা পেতে শুরু করেছে। গত কিছুদিন আগে পিরোজপুর সরকারি বয়েজ স্কুল এর সামনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুরি হয়েছিল, পুলিশ প্রশাসনের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেই কিন্তু সেই চোরকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, আমরা অনেকগুলো কাজ হাতে নিয়েছি। তার মধ্যে বড় অংশের কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। পৌর এল্কাা ম্যাপিং করে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থানকে আমরা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে আমরা পরিবর্তন বুঝতে পারছি। আগে যেমন আমদের শহর কেন্দ্রিক চুরির ঘটনাগুলো সংঘটিত হতো, সেগুলো কমেছে এবং যেগুলো ঘটেছে সেগুলোর অপরাধীদের আমরা সিসি ক্যামেরার সহায়তায় চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। এর ফলে শহর কেন্দ্রিক যে অপরাধগুলো সেগুলোর অনেকটাই আমাদের নিয়ন্ত্রনে। আমরা আশা করছি পিরোজপুর পৌর এলাকাকে একটি অপরাধমুক্ত অঞ্চল হিসেবে মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। আমাদের মোট ২ শত ৫০টি স্পটে আমাদের কার্যক্রম করার ইচ্ছা আছে। যার ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আপনার জানেন যে, পিরোজপুর জেলা পুলিশের একটি কন্ট্রোলরুম আছে যার সাথে আমাদের সকল উপজেলাগুলোকে শীঘ্রই সংযুক্ত করা হবে। যার ফলে আমাদের জেলার সকল গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো আমরা এইখান থেকে পর্যবেক্ষন করতে সক্ষম হবো।