CV
উচ্চশিক্ষার জন্য বাইরে আবেদন করার সময় যে ডকুমেন্টটি পাঠাতে হয় সেটিকে বলা হয় CV। এতে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে যে যে বিষয়গুলোর উপরে আপনার দক্ষতা ছিলো সে বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে।
আপনি শিক্ষানবিশ থাকা অবস্থায় যে সব প্রজেক্টে কাজ করেছেন এবং সেসব কাজের ফলাফলগুলো উল্লেখ করতে হবে। আপনার থিসিস টপিক, শিক্ষাজীবনের যেকোন পুরষ্কার সিভিতে উল্লেখ করতে হবে। উচ্চশিক্ষার জন্য আপনার পছন্দের বিষয় এবং ওই বিষয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিষয়াদি CV তে উল্লেখ করতে হবে।
আপনার কোন দেশীয় বা আর্ন্তজাতিক প্লাটফর্মে কোন প্রকাশনা থাকলে সেটি CV তে উল্লেখ করতে হবে। কোন কনফারেন্সে যোগদান করলে বা কোন কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করলে সেটি CV তে উল্লেখ করতে হবে। আপনার ভাষাগত দক্ষতা (IELTS বা GRE স্কোর বা অন্য ভাষার দক্ষতা থাকলে সেটি ও উল্লেখ করা যেতে পারে।
CV এর দৈর্ঘ্য দুই পেইজের বেশি না হওয়াই ভালো। বাইরের দেশের প্রফেসরকে CV এর সাথে লেটার অফ মোটিভেশন (LOM) অথবা স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (SOP) পাঠাতে হতে পারে। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়ের উপরে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে চাচ্ছেন সেখানে কেন আপনি নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে করেন সেটিকেই সাবলীল ভাষায় এই SOP বা LOM এর মাধ্যমে প্রকাশ করতে হয়।
আপনি উচ্চশিক্ষা লাভের পর দেশে ফিরে গিয়ে এই শিক্ষাকে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগাবেন কিংবা আরও গবেষণা করবেন এই ধরনের ভবিষ্যত পরিকল্পনামূলক লেখা প্রফেসরদেরকে আপনাকে নির্বাচনের ব্যাপারে আরও আগ্রহী করে তুলবে।
CV তে যেসব তথ্য অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়ঃ
- Contact information
- Personal Statement or Profile
- Work Experience
- Education
- Skills
Resume
যখন কোন ব্যক্তি তার ছাত্রজীবন শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে চায় তখন তাকে যে ডকুমেন্টটি তৈরি করতে হয় সেটিকে বলা হয় Resume। সিভিতে যে সব তথ্য উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে তার কোন কিছুই Resume এ থাকা চলবেনা।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন ফ্রেশারের Resume এ তার ক্যারিয়ার অবজেকটিভ (জীবনের লক্ষ্য), প্রধান দক্ষতাগুলো, খন্ডকালীন চাকরির অভিজ্ঞতা, কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজ, সেচ্ছাসেবামূলক কাজের অভিজ্ঞতা, সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কাজের অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়। আর অভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দেখা হয় তার কর্মজীবনের অর্জনগুলোকে।
আমাদের মাঝে অনেকেই নিত্যদিনের কাজ এবং কাজের ফলাফল এই দুইয়ের মাঝে পার্থক্য করতে পারে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইনফোগ্রাফিক কিংবা ডিজাইনভিত্তিক সিভির গ্রহণযোগ্যতা একদমই কম। এক পেইজের Resume অনেক মানবসম্পদ বিভাগের কর্মী ভালো দৃষ্টিতে দেখেন না। আবার অনেক বড় দৈর্ঘ্যের Resume কেউ পড়ে দেখে না।
কারণ একটি Resume যাচাই-বাছাই করতে একজন চাকুরীদাতা সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করেন তাই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ মানব সম্পদ বিভাগের প্রধানরা শুন্য থেকে দশ বছর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দুই পেইজের এবং দশ বছরের অধিক অভিজ্ঞতা থাকলে সর্বোচ্চ তিন পেইজের Resume তৈরির ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
সেক্ষেত্রে কোন জিনিসটি Resume এ থাকবে এবং কোনটি থাকবেনা, কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও কোনটি কম গুরুত্বপূর্ণ সেটি নির্বাচন করা অনেকের কাছে বেশ চ্যালেন্জিং। তাই এক্ষেত্রে যে কোম্পানিতে যে পদের জন্য আবেদন করছেন সেই সার্কুলারের সাথে সঙ্গতি রেখে আংশিক পরিবর্তন করে প্রত্যেক ক্ষেত্রে Resume পাঠালে ইন্টারভিউ কল পাওয়ার সম্ভবনা বাড়ে।
Resume এর সাথে সব সময় পাঠাতে হবে কভার লেটার। আপনি কেন সেরা, আপনি কোম্পানিতে কিভাবে অবদান রাখতে পারবেন, সেসব কিছুই আপনাকে এক পৃষ্ঠায় গুছিয়ে লিখতে হবে। কভার লেটারকে Resume এর সারাংশ বলা হয়।
Resume এ কি উল্লেখ করা আবশ্যকঃ
- Contact information
- Job Title
- Career Objective
- Work Experience
- Education
- Skills
- Additional Sections (Awards, Courses, Publications, Licenses, Certifications, Interests, etc)