ইন্দুরকানী প্রতিনিধি: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল আহসান গাজীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। গত শুক্রবার উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল আহসান গাজীসহ নামীয় ২৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে আঃ জলিল খান বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়দের দাবি, চরণী পত্তাশী এলাকায় নির্বাচনের আগের দিন ৭ই মে সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। পুলিশি তদন্ত, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করলেই আসল সত্য বের হয়ে আসবে। তারা অবিলম্বে চেয়ারম্যান জিয়াউল আহসান গাজীর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় মামলা প্রত্যাহার না হলে ইন্দুরকানী উপজেলাবাসীকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মামলার অন্যতম স্বাক্ষী পিরোজপুর জজ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট অহিদুজ্জামান বাবু বলেন, ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন মে মাসের ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু নির্বানের আগের দিন ৭ই মে মামলার বাদী আঃ জলিল খানের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে কোন নির্বাচনীয় এলাকায় আমার যাওয়া হয়নি। ওই দিন কোর্টের একটি মামলা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে সাংবাদিক আঃ জলিল খান মিথ্যা মামলায় আমাকে স্বাক্ষী বানিয়েছেন শুনেছি। আমি সাংবাদিক হিসেবে নির্বাচনের দিন সংবাদ সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল আহসান গাজী জানান, ওই দিন নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু আঃ জলিল খানকে আমি চিনি না। তিনি আমার ভাই ও ভাইপোদের জরিয়ে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
উপজেলার স্থানীয় কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক জানান, গত ৮ মে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জিয়াউল গাজী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। জিয়াউল আহসান গাজীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলার কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। আঃ জলিল খান সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মামলা করা ঠিক হয়নি। আমরা স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে আঃ জলিল খানকে চিনি না। ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আগে বা পরে কোন ব্যক্তির ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে নি। এমন কোন ঘটনা ঘটলে আমরাই পত্রিকায় রিপোর্ট করতাম।
এ বিষয়ে আঃ জলিল খান এর মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসাইন বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল গাজীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য মামলার বাদী মিথ্যা নাটক সাজিয়ে জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকিব, মাছিমুপর এলাকার দোলোয়ার হোসেন দুলাল, ছেলে স্বাধীন এবং তার ভাই শাকিল হাওলাদারকে মামলার আসামী দিয়ে হয়রানী করে।
মামলার আসামী স্বাধীন জানান, সে ঘটনার আগে অথবা পরে কখনওই ইন্দুরকানী জাননি এবং মামলার বাদিকেও সে চেনেন না। তবুও মামলার বাদি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন।