অনলাইন ডেস্ক: জিতলে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের টিকিট—কাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এমন সমীকরণই ছিল পাকিস্তানের। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তান শুধু জেতেইনি, গড়েছে রেকর্ডও। রেকর্ড হয়েছে দলগত, রেকর্ড হয়েছে জুটির, মাইলফলক ছুঁয়েছেন দুই ব্যাটসম্যানও।
এত এত স্মরণীয় পারফরম্যান্সের পর ম্যাচশেষে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে যখন এ বিষয়ে বলতে বলা হলো, পাকিস্তান অধিনায়ক বললেন, ‘আল্লাহ চাইলে রেকর্ডের পর রেকর্ড হতেই থাকে।’
সবচেয়ে বড় রেকর্ড হয়েছে দলগত। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছিল ৫ উইকেটে ৩৫২ রান। পাকিস্তান আগে কখনো সাড়ে তিন শ রান তাড়া করতে না পারলেও এ দিন সেটা পেরেছে। ৬ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলেছে রিজওয়ানের দল। যা পাকিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।
আবার এই জয়ের পথে অধিনায়ক রিজওয়ান ও সহ-অধিনায়ক সালমান আলী ২৬০ রানের জুটি গড়েছেন। ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। পেছনে পড়ে গেছে ২০০৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে মোহাম্মদ ইউসুফ ও শোয়েব মালিকের ২০৬ রানের জুটি।
আড়াই শর বেশি রানের জুটি গড়ার পথে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রিজওয়ান আর সালমানও। রিজওয়ানের ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি ২০২৩ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি, আর তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম। অপর দিকে ৩১তম ওয়ানডে খেলতে নামা সালমানের জন্য ১৩৪ রানের ইনিংসটিই প্রথম সেঞ্চুরি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে রিজওয়ানকে সাড়ে তিন শ রান তাড়া বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা তাঁদের ৩২০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চেয়েছিলাম। তবে ক্লাসেন (৮৭ রান) সেটা সাড়ে তিন শতে নিয়ে গেল। ম্যাচের বিরতিতে খুশদিল শাহ বলছিল, এ রকম রান আমরা আগেও তাড়া করেছি। কেউ কেউ বলল ৩৪০ রানও তাড়া করেছি আমরা।’
সালমানের সঙ্গে বড় জুটি গড়ে সাড়ে তিন শ রান তাড়া করতে পেরে রিজওয়ান খুশি। তবে কিছু অস্বস্তি তাঁর রয়েই গেছে, ‘আমাদের ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করা দরকার। আশা করি সেটা আমরা পারব। কারণ চ্যাম্পিয়নস দলগুলো এভাবেই খেলে।’
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের অন্য দুই প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ও ভারত।