বরগুনায় বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত তরুণীর ‘আপত্তিকর’ ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করায় এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাহেবেরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাসুদ রানা (৩৭) সাহেবেরচর এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী। মাসুদ রানার বিরুদ্ধে ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ঢাকার বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন।
র্যাব-৮ ও তরুণীর পরিবারের ভাষ্যমতে, প্রায় ৫ বছর আগে ঢাকা কলেজের ছাত্র পরিচয় দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মাসুদ। তাঁদের সম্পর্ক চলাকালীন ওই তরুণী জানতে পারেন মাসুদ বিবাহিত। সে দুই কন্যা ও এক পুত্রসন্তানের বাবা। তখন উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরে। এতে নিজের সঙ্গে তরুণীর সম্পর্কের ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন মাসুদ। তখন ওই তরুণীর মা ঢাকার বাড্ডা থানায় মাসুদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর পুলিশ মাসুদকে আটক করেছিল। তখন মাসুদ ভবিষ্যতে এমন কাজ করবেন না মুচলেকায় ছাড়া পান।
সূত্রগুলো বলছে, কিন্তু বিগত ৩-৪ মাস ধরে মাসুদ পুনরায় ওই তরুণীর ‘আপত্তিকর’ ছবি ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁদের আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠাতে শুরু করেন। পরে ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন।
র্যাব আরও জানায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণীর মা বাড্ডা থানায় মামলা করলে আসামি গ্রেপ্তারের জন্য র্যাবের সহযোগিতা চায় পুলিশ। পরে র্যাব অভিযোগের সত্যতা পেলে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে আপত্তিকর ছবিসংবলিত মোবাইল ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে ওই তরুণী বরগুনায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তাঁর সঙ্গে মাসুদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে মাসুদ ওই তরুণীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। আমরা অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। আসামিকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’