ইফতারে যে ফলগুলো খেলে শীতল থাকবেন সারাদিন।

 

সারাদিন রোজা রাখার পরে তৈলাক্ত খাবার  ছাড়া ইফতারির কথা অনেকেই আমরা ভাবতে পারি না। কিন্তু রোজার মাঝে এই খাবারগুলো খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। সারাদিন রোজা থাকার পর পাকস্থলীতে এমন কিছু খাবার দেয়া উচিৎ যা দ্রুত শরীরে শক্তি যোগায় ও বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। আর এবারের রোজা গরমের সময় হওয়ায় খাওয়া-দাওয়া নিয়ে একটু বেশি খেয়াল রাখার প্রয়োজন। ইফতারে অতিরিক্ত মসলা ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে এমন কিছু খাবার খাওয়া দরকার যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে। শুধু তাই নয় সে খাবারগুলো সারাদিনের পানির চাহিদা পূরণ করবে ।

আপেল
আপেল একটি সুস্বাদু ফল। আপেলে রয়েছে পেকটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। তাই এই রমজানে আপেল আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে।  সবুজ আপেল খাওয়াটা শরীরের জন্য খুবই উপকার।

শসা

শসা মূলত কুমড়া, বাঙ্গি ও তরমুজ জাতীয় ফল বা সবজি। শসায় আছে ৯৫% পানি, ভিটামিন ও মিনারেল। যা খেলে আপনার শরিরের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে শসা খেলে শরীর ভিতর থেকে ঠাণ্ডা থাকে। শসায় রয়েছে প্রচুর পানি ও অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান যা শরিরের টক্সিন দূর করতে সাহয্য করে। এতে ক্যালরি কম থাকে আর ফাইবার বেশি থাকে। তাই প্রতিদিন খাবারের শসা রাখতে চেষ্টা করুন।

তরমুজ
তরমুজ খুব উপকারী ফল।  তরমুজে ৯২% পানি যা শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, অ্যামিনো অ্যাসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । ফলের রস হিসেবে ইফতারের টেবিলে রাখতে পারেন তরমুজ।

কমলা
চোখ ধাধানো রঙ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর বলে এই কমলা নামের ফলটি সবারই খুব পছন্দ। কমলা মৌসুমি ফল হলেও এখন প্রায় সারাবছরই  পাওয়া যায়। কমলায় রয়েছে ৮০% পানি যা এই গরমে আপনার শরীরকে শীতল রাখবে। প্রতিদিন কমলা খেলে শরীরের নানান সমস্যা ও রোগ বালাই থেকে দূরে থাকা যায়।এছাড়া এতে রয়েছে পটাসিয়াম, ভিটামিন বি১, ভিটামিন এ ও ক্যালসিয়াম । তাই সুস্থ্য থাকতে হলে এক গ্লাস কমলার রস ইফতারিতে পান করতে পারেন ।

কলা

সারাদিন রোজা রাখার পর কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে ইফাতারিতে রোজা রাখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পেট পরিস্কার হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করবে। ইফতারিতে কলা খেলে কলাতে থাকা পটাশিয়াম মতিস্ককে চাঙ্গা করবে। কলায় থাকা অ্যামাইনো এসিড অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে।

আনারস
মৌসুমী ফলের নানা গুণ। আর সেটা যদি হয় আনারস তাহলে তো কথাই নেই। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা এনজাইমের অন্যতম একটি উৎস। এছাড়া আনারসে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ফাইবার, ভিটামিন বি১, ম্যাগনেসিয়াম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড রয়েছে। এই ফলে খেয়ে যেমন শরীরে পানির চাহিদা মেটানো যায় তেমনি বাড়তি পুষ্টিগুণ পেতে জুড়ি নেই এর। তাই এই রমজানে ইফতারের সময় ফ্রুট স্যালাদ কিংবা স্মুদিতে আনারস ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও এই গরমে সারাদিন শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খেতে পারেন টক দই। টক দই শুধু শরীরকেই ঠাণ্ডা রাখে না, বরং খারাপ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই এই রমজানে ইফতারের সময় এই ফলগুলো খেতে পারেন।

 

Categories: অন্যান্য,জীবন যাপন,লাইফ স্টাইল

ব্রেকিং নিউজ