জন্মদিনের টাকা বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করবেন পিরোজপুরের কৃতিসন্তান নায়ক জায়েদ খান

গত জন্মদিনে এফডিসিতে জায়েদ খান বিশাল অনুষ্ঠান করেছিলেন। বিয়েবাড়ির মতো সাজিয়েছিলেন এফডিসি প্রাঙ্গণ। রীতিমতো গরু জবাই করে খাইয়েছেন শিল্পী ও কলাকুশলীদের। সন্ধ্যায় বাজি পুড়িয়েছেন তিনি। তবে এবার জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই। জন্মদিনের টাকা বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করবেন বলে জানান জায়েদ।

এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সবার যাওয়া উচিত, বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়ানো উচিত। যে কারণে আজ আমি আমার জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন করিনি। বন্যার্তদের মধ্যে সেই টাকা দিতে চাই। চলতি সপ্তাহে আমি বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে যাব। তাদের পাশে দাঁড়াব। সমাজে যাঁরা বিত্তবান আছেন, তাঁরা যেন সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান।’

জায়েদ খানের চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে ‘ভালবাসা ভালবাসা’ ছবি দিয়ে। রোমান্টিক ধাঁচের এই ছবিটি পরিচালনা করেন মহম্মদ হাননান। এতে আরো অভিনয় করেন রিয়াজ ও শাবনূর।

পরের বছর তিনি মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কাজের মানুষ’ এবং মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘মন ছুঁয়েছে মন’ ছবিতে অভিনয় করেন। ২০১০ সালে মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত এফ আই মানিক পরিচালিত ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’ এবং মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘মায়ের চোখ’ ও ‘রিকসাওয়ালার ছেলে’ ছবি।

২০১২ সালে জায়েদ খানকে শাবনূরের বিপরীতে প্রধান অভিনেতা হিসেবে ‘আত্মগোপন’ ছবিতে দেখা যায়। ছবিটি পরিচালনা করেন এম এম সরকার। ২০১৪ সালে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো হলো মাশরুর পারভেজ ও আকিব পারভেজের যৌথ পরিচালনার ‘অদৃশ্য শত্রু’, রকিবুল আলম রকিবের ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’, আজাদ খানের ‘দাবাং’, মনতাজুর রহমান আকবরের ‘মাই নেম ইজ সিমি’ এবং রাজু চৌধুরীর ‘তোকে ভালোবাসতেই হবে’।

২০১৫ সালে শাহ্ আলম মণ্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’, রকিবুল আলম রকিব পরিচালিত ‘নগর মাস্তান’ ছবিতে অভিনয় করেন জায়েদ।

২০১৭ সালে প্রযোজনায় নাম লেখান জায়েদ খান। তাঁর প্রযোজিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘অন্তর জ্বালা’ পরিচালনা করেন মালেক আফসারী। এখানে তাঁর নায়িকা ছিলেন পরী মণি। বর্তমানে কিছু ছবি তাঁর নির্মাণাধীন রয়েছে।

Categories: জাতীয়,জীবন যাপন,সারাদেশ

ব্রেকিং নিউজ