রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের নির্দেশ

এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া এ ধরনের ওষুধ বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নির্দেশনায় আদালত বলেছেন, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এই ধরনের ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।

নির্দেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করতে করতে বলেছেন হাইকোর্ট। পরিপত্রের আলোকে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করার ব্যবস্থা করবেন।

সেই সঙ্গে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি হতে দেওয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সরকারের কাছে জবাব চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে মারা যাওয়া রোগীদের ৮০ শতাংশের মৃত্যুর সঙ্গে ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধী সুপারবাগের সম্পর্ক থাকতে পারে। বলা হচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ জারি করেন। এই রিট আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

সায়েদুল হক বলেন, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এন্টিবায়োটিক বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে রোগীদের ওপর এ ধরনের ওষুধের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে।

বিএসএমএমইউ হাসপাতালের একজন চিকিৎসককে উদ্ধৃত করে রিট আবেদনে বলা হয়, দেশের বৃহত্তম আইসিইউতে যত রোগী মারা যাচ্ছেন তার প্রায় ৮০ শতাংশ ঘটনার সঙ্গে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

হাসপাতালটির ফার্মাকোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সায়েদুর রহমান দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, গত বছর প্রায় ৯০০ রোগী তাদের আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন যাদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন মারা গেছেন যার ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে রোগী যে ব্যাক্টেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমিত হয়েছে তা এন্টিবায়োটিকের প্রতি সংবেদনশীল নয়।

 

Categories: টপ নিউজ,সারাদেশ

ব্রেকিং নিউজ