ইন্দুরকানী প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে মানছুরা আক্তার (১২) নামের এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের থানার দক্ষিণ পাশে, স্কুলছাত্রীর নানা শহিদুল বেপারীর বাড়ির সামনে নির্মাণাধীন সুবাস মণ্ডলের ভবনের ছাদে রডের সঙ্গে কাপড় শুকানোর দড়িতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মানছুরা আক্তার উপজেলার কালাইয়া গ্রামের খলিল হাওলাদারের মেজো মেয়ে এবং ইন্দুরকানী সেতারা স্মৃতি সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
স্কুলছাত্রীর নানা শহিদুল বেপারী বলেন, “সকালে নাতনি তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে প্রতিদিনের মতো ঘর থেকে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে খেলা শেষে বাসায় এসে খেয়ে আবার খেলতে যেতে চাইলে তার মা নিষেধ করে। তবে সে কথা না শুনে আবারও ঘর থেকে বের হয়ে যায়। প্রতিদিনের মতো খেলতে যাওয়ায় আমরা কেউ খোঁজ করতে যাইনি। বিকেল ৪টার দিকে আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলের বউ সুবাস মণ্ডলের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে মানছুরাকে গলায় ওড়না পেঁচানো, হাঁটু মুড়ে বসা অবস্থায় দেখে আমাদের খবর দেয়। তখন আমরা গিয়ে দেখি সে কাপড় শুকানোর দড়িতে ঝুলছে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।”
প্রত্যক্ষদর্শী মৌসুমী আক্তার বলেন, “আছরের আজানের আগে আমি আমার বাচ্চাদের কাপড় শুকাতে বাড়ির ছাদে উঠি। তখন সামনে থাকা সুবাস মণ্ডলের ছাদে মানছুরাকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে দেখি। আমি ওকে কয়েকবার ডাকলে কোনো সাড়া না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারকে জানাই।”
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মারুফ হোসেন বলেন, “স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যাচ্ছে না এটি হত্যা না আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
