আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এক রাজনীতিকের ছেলের দাফন অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত ও কমপক্ষে ৮৭ জন আহত হয়েছে। কাবুলে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় মারা যান ওই রাজনীতিকের ছেলে সালিম এজাদিয়ার।
এর আগে গত বুধবার কাবুলের কূটনীতিক এলাকায় ট্রাকবোমা হামলায় ৯০ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ২০০১ সালের পর আফগানিস্তানের রাজধানীতে এটাই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। এর মধ্য দিয়ে রাজধানীর সবচেয়ে নিরাপদ এলাকাতেও যে জঙ্গিরা হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে সেটাই ফুটে ওঠে।
ওই হামলার পর শুক্রবার কাবুলের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতাকে কেন্দ্র করে আশরাফ ঘানির পদত্যাগের দাবিতে কয়েক শ লোক রাজপথে বিক্ষোভ করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে সালিমসহ চারজন নিহত হন। এরপর সালিমের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে আবার হামলার ঘটনা ঘটল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সালিমকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয় সেখানে তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিস্ফোরণের তীব্রতায় মানুষের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিদ মাজরোহ এএফপিকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ছয়টি মৃতদেহ ও আহত ৮৭ জনকে কাবুলের হাসপাতালগুলোতে নেওয়া হয়েছে।’
আফগান সিনেটরের ছেলে সালিমের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে আবদুল্লাহর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, এ বিস্ফোরণে আবদুল্লাহ অক্ষত রয়েছেন।
কোনো সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এ বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে টুইটার পোস্টে বলেছেন, ‘দেশ হামলার মুখে। আমাদের একতাবদ্ধ থাকতে হবে।’