নেছারাবার প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের নেছারাবাদে আরামকাঠি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালক মোঃ রহমতুল্লাহ সহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। এসময়ে আত্মগোপনে থাকা সমিতির পরিচালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিসত্বর ফিরিয়ে আনা ও গ্রাহকদের আত্মসাৎকৃত সকল টাকা সদস্যের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (৩ মে) দুপুরে নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে নেছারাবাদ থানার সামনে গিয়ে এ সমাবেশ সমাপ্ত হয়।
জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল আরামকাঠি সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি লিমিটেডের পরিচালক মো. রহমতুল্লাহ লাপাত্তার খবরটি জানতে পেরে তার আরামকাঠি গ্রামের বাড়িতে বিক্ষোভ করছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সমিতির পরিচালককে না পেয়ে সমবায় সমিতির ম্যানেজার, মাঠকর্মী, তার একান্ত সহযোগীসহ মোট সাতজনকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় গ্রাহকদের হাতে আটক ৭ জনকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ২০ এপ্রিল আটককৃত জনসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু প্রধান আসামীসহ ওই আটককৃত ৭জন আসামি ব্যতীত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি নেছারাবাদ থানা পুলিশ।
সালামুন নামে এক বিক্ষুব্ধ সদস্য বলেন, প্রায় ১৮ হাজার গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন সমিতির পরিচালক সহ একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সাত দিনের মধ্যে যদি এদেরকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে লাগাতার কর্মসূচি দেয়া হবে। এ বিষয়ে সমবায় অফিসার মো. হাসান রকি জানান, বিক্ষুব্ধরা সমবায় অফিসের সামনে ও থানার সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন। তাদের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। বিক্ষুব্ধদের একাংশ কমিটি গঠনের পক্ষে অন্য একটি অংশ পরিচালক রহমতুল্লাহকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে। নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, বিক্ষুব্ধ সদস্যরা থানা সামনে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছিলেন, তাদের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে তাৎক্ষণিক শান্ত করেছি। প্রধান আসামি সহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান আছে। আশা করি অতি শীঘ্র তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।
