জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ডে ১২ দিনের সরকারি সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। রোববার (৯ জুন) বিকেল ৫টায় গণভবনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তিন দেশ সফরের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরছেন দেশবাসীর সামনে।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, কোন রাষ্ট্রই আমাদরে শত্রু না, দারিদ্রতাই আমাদের একমাত্র শত্রু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সকল রাষ্ট্র আমাদের বন্ধু। জাতির পিতার একটা পররাষ্ট্রনীতি ছিল- সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নই। আমাদের একমাত্র শত্রু হচ্ছে দারিদ্রতা। যা বিশ্বের সকল সরকার প্রধানদেরকে আমি বিদেশ সফরে বলেছি। আমার দেশের সাথে কারও শত্রুতা নেই, আমাদের একমাত্র শত্রু হচ্ছে দারিদ্রতা।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের সকল রাষ্ট্র নেতাদেরকে আমি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, রোহিঙ্গা সমস্যার কথা। আশা করি জাপনকে যেভাবে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি রোহিঙ্গাদের বিষয়ে, তেমনি চীনকেও বুঝাতে সক্ষম হব। তবে সারাবিশ্ব বুঝতে চাইলেও মিয়ানমার সরাকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আন্তরিক না এবং তারা এই সমস্যা সমাধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। পরে সেখান থেকে যান সৌদি আরবে। সবশেষ তিনি ফিনল্যান্ড সফর করেন।
ফিনল্যান্ডে পাঁচ দিনের সরকারি সফর শেষে কাতার এয়ারলাইনসের একটি বিমান স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে হেলসিঙ্কি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
দোহায় যাত্রা বিরতির পর প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে শনিবার ভোরে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
ফিনল্যান্ডে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ জুন ফিনিস প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং ৫ জুন অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ ও ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ তাঁর সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনায় যোগ দেন।
সৌদি আরবে তিন দিনের সফর শেষে শেখ হাসিনা গত ৩ জুন ত্রিদেশীয় সফরের দ্বিতীয় গন্তব্য জেদ্দা থেকে হেলসিঙ্কি পৌঁছেন।
সৌদি আরবে তিন দিনের সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বাদশাহর আমন্ত্রণে মক্কায় অনুষ্ঠিত ১৪তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। এ ছাড়া তিনি মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন এবং মদিনায় প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ মে ত্রিদেশীয় সফরের প্রথম গন্তব্য জাপানের রাজধানী টোকিও যান। জাপানে চার দিন অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আড়াই বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ ৪০টি ওডিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ‘ফিউচার ফর এশিয়া’ বিষয়ক নিক্কেই সম্মেলনেও যোগ দেন। ওই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সফরে তিনি জাপানের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও গোলটেবিল বৈঠক করেন।
শেখ হাসিনা হলি আর্টিজান হামলায় হতাহতদের পরিবার এবং জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।