অনেকের ত্বকে খুব সহজেই ব্রণ ওঠে। তারা সাধারণ মেকআপ ব্যবহার না করে নন-কমোডোজেনিক বা নন-অ্যাকনিজেনিক পণ্যগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের পোর বা রোমকূপ বন্ধ করে না, ফলে ব্রণের ভয় কমে যায়। মেকআপ করার সময় ত্বকে ব্রণের উপদ্রব থাকলে মেকআপ ব্যবহার করতে চান না নারীরা। কারণ এতে ব্রণ আরো ফুটে ওঠে। আবার মেকআপ করলে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু এ সমস্যা আর নয়। ব্রণ ঢেকে মেকআপ করার দারুণ কার্যকর টিপসগুলো দেখে নিন এখনই।
ভারী ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না। এর বদলে ব্যবহার করুন একেবারেই হালকা ফাউন্ডেশন। টিন্টেড ময়েশ্চারাইজারগুলো এক্ষেত্রে বেশি ভালো কাজ করে।
ত্বক কখনো বেশি শুষ্ক হতে দেবেন না। ত্বক শুকনো রাখলে তা অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করবে এবং আরো বেশি বাড়বে ব্রণ। সারাদিন যেন ত্বক আর্দ্র থাকে তার জন্য হালকা একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন দিনের শুরুতেই।
মেকআপ শুরুর আগে অয়েল ফ্রি প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে তা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে আর সারাদিন মেকআপ ধরে রাখবে।
পাউডার ধরনের মেকআপ কম ব্যবহার করুন। তার বদলে বেছে নিন ওয়াটার বেসড লিকুইড মেকআপ। যেমন লিকুইড ফাউন্ডেশন এবং ব্লাশ।
সম্ভব হলে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি মেকআপ ব্যবহার করুন। এগুলো ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
কিছু কিছু ফাউন্ডেশন ব্রণের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। এগুলোতে থাকে স্যালিসাইলিক এসিড। সম্ভব হলে এগুলো ব্যবহার করুন।
মেকআপে ডাইমেথিকোন থাকলে তা ব্যবহার করা ভালো এমন ত্বকের মানুষের। কারণ তা ব্রণ ঢাকতে সাহায্য করে।
ওয়াক্স আছে এমন পণ্য, অথবা স্টিক, প্যানকেক, পাউডার ধরনের ফাউন্ডেশনগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এগুলো ব্রণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
আপনার মেকআপ ব্রাশ এবং স্পঞ্জ নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। কিছুদিন পরপর এগুলো পরিবর্তন করাটাও ভালো। কারণ পরিষ্কার না করলে আপনার ত্বকের ব্যাকটেরিয়া এবং অতিরিক্ত মেকআপ এগুলোতে লেগে থাকে। ফলে ত্বকে মারাত্মক ব্রণের উপদ্রব হতে পারে।
আলতো হাতে মেকআপ দিন। বেশি দ্রুত বা ঘষাঘষি করে মেকআপ দিতে গেলে ত্বকের আরো বেশি ক্ষতি হবে। ত্বকে যত কম হাত দেওয়া যায় তত ভালো।
ব্রণ ঢাকতে ব্যবহার করতে পারেন ম্যাট মেকআপ। গ্লসি মেকআপ ব্যবহার করলে ব্রণ আরো বেশি প্রকট হয়ে ফুটে ওঠে। ম্যাট মেকআপ এগুলোকে ঢেকে দেয় সহজেই।