মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : শ্রীমঙ্গলে প্রতিবেশী আরজু মিয়া গং কর্তৃক হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী এক বিধবা মহিলা। তিনি হলেন উপজেলার লইয়ারকুল গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন এর স্ত্রী আজিরুন বেগম।
শনিবার দুপুরে শহরের এক রেস্টুরেন্ট-এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত অভিযোগ করে বলেন,তার কোন ছেলে সন্তান নেই। তিন মেয়ের নামে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তার খরিদ সূত্রে জায়গায় বাড়ীর সীমানা দেওয়াল নির্মাণ করে। এরপর থেকে ওই এলাকার আরজু মিয়া তার ভাগ্না সুহেল ও উপজেলা কৃষকলীগ নেতা বদরুল আলম শিপলু ডিগাপাড়া রাস্তায় সরকারি জায়গায় দেওয়াল নির্মাণ করে পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে প্রচারণা করতে থাকেন।
এই মিথ্যা অভিযোগে বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার সীমানা দেওয়াল ভাঙার নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় আমি ও আমার মেয়ে তাদের বাঁধা দিয়ে বলি এটা আমাদের খরিদ সূত্রের জায়গা। তারা এসব বিষয়ে কর্নপাত না করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত গফুর মিয়া,মানিক মিয়া,আরজু মিয়া গংদের ইশারায় উপজেলার জিলাদ পুর এলাকার রফিক মিয়ার স্ত্রী সাহেনা বেগম তার মেয়ে তামান্না আক্তারকে মারপিট করেন বলে জানান।
এ ঘটনার জন্য তিনি বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়ী করেন। এরপর থেকে আরজু মিয়া গং তাদের কে নানাভাবে নাজেহাল করে যাচ্ছেন। গত ২৫ সেপ্টেম্বর তারা শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে তাদের নামে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে মানহানিকর অভিযোগ করেছেন বলে এর প্রতিবাদ জানান। এ বিষয়ে আরজু মিয়া তার ওপর আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান সরকারি মালিকানাধীন জায়গার ওপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়াতে ওই দিন সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবু তালেব সীমানা দেওয়াল ভাঙার নির্দেশনার প্রদান করার কথা সত্য নয় বলে জানান,স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পর ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায় এলজিডি রাস্তার পাশে সীমানা দেওয়াল নির্মাণ করার কারণে জলাবব্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সবাইকে বলে আসেন সরকারি রাস্তায় পানি চলাচলে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না,পানি চলাচলের পথ রেখে স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। ওই সময়ে কোন মারামারির কোন ঘটনা তিনি প্রত্যক্ষ করেন নি বলে জানান।