নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী হামলা, নিরাপদে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নুরে যাচ্ছিলেন পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করতে, ফিরতে হয়েছে প্রাণহানির শঙ্কা নিয়ে। এমতাবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আর নিউজিল্যান্ডে থাকতে চান না বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে অজ্ঞাত বন্দুকধারী হামলা চালান সেন্ট্রাল ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ আল নুরে। সে মসজিদেই নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সৌভাগ্যবশত মসজিদে ঢোকার আগমুহূর্তে হামলার খবর পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে সে স্থান ত্যাগ করেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।


নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে খুব কাছ থেকে এমন একটি ঘটনার সাক্ষী হয়ে ভীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে আসতে চাচ্ছেন তারা।

ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভাল মাঠে শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এমতাবস্থায় শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটি মাঠে গড়াবে কি-না সে ব্যাপারে এখনই কিছু জানাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড।

ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ দলের সঙ্গেই রয়েছেন স্থানীয় রেডিও ধারাভাষ্যকার ব্রায়ান ওয়াডেল। যিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে জানিয়েছেন টিম হোটেলে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারদের কাঁদতে দেখেছেন তিনি। এমনকি টিম হোটেলে ক্রিকেটাররা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত নন ঘটনার পটভূমি কী বা কেন হয়েছে এই হামলা।

এদিকে জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম নিশ্চিত করেছেন টিম হোটেলে নিরাপদেই আছেন তামিম-মুশফিকরা। তবে তারা কেউই বেশিক্ষণ নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করতে চাচ্ছেন না।

তিনি নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, ‘আমার মনে হয় না তারা এখন ক্রিকেট খেলার মতো অবস্থায় আছে। তারা যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চায়। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি যা শুনছি তা থেকেই বলছি।’

ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইসাম আরও বলেন, ‘যখন ঘটনাটা ঘটছিল, তখন একজন ক্রিকেটার আমাকে ফোন করে বললেন যে যাতে আমি পুলিশকে এটি জানাই। কিন্তু আমিও ক্রাইস্টচার্চে নতুন। ফলে জানা নেই কার সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিৎ। তাই আমি একজন অপরিচিত ব্যক্তির গাড়িতে করে কোনোভাবে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে তাদের জানাই। পুরো ঘটনাটাই মর্মান্তিক।’


Categories: খেলাধুলা,টপ নিউজ,বিদেশ,ব্রেকিং নিউজ,সারাদেশ

ব্রেকিং নিউজ