কুমিল্লায় একটি হত্যা মামলার শুনানি চলাকালে বিচারকের সামনে আসামি মো. হাসানের ছুরিকাঘাতে অপর আসামি মো. ফারুক (২৮) নিহত হয়েছেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আদালত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘাতক হাসানকে আটক করে পুলিশ।
নিহত মো. ফারুক কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার অহিদ উল্লাহর ছেলে এবং ঘাতক হাসান জেলার লাকসাম উপজেলার ভোজপুর গ্রামের শহীদুল্লাহর ছেলে।
আইনজীবী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে জেলার মনোহরগঞ্জ থানার ২০০৭ সালের একটি হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছিল। এসময় ওই হত্যা মামলার আসামি হাসান হঠাৎ করে তার সহযোগী আসামি ফারুককে ছুরিকাঘাত করে। এতে ফারুক দৌঁড়ে বিচারকের খাস কামরায় গিয়ে আশ্রয় নেন। এসময় হাসান দৌঁড়ে ওই কামরায় গিয়ে ফারুককে আবারও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এসময় আদালতের পুলিশ, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা হাসানকে ধরে ফেলে।
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি জানান, ঘাতক হাসানকে আটকসহ তার নিকট থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর আহত ফারুককে প্রথমে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। নিহত ওই ব্যক্তি ও ঘাতক উভয়ে হত্যা মামলার আসামি ছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে আদালতে যান কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এতো নিরাপত্তার মাঝেও আসামি ছুরি নিয়ে কিভাবে আদালতের ভেতরে প্রবেশ করলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং দায়িত্বরত পুলিশের অবহেলা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।