প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল ‘টাই’ হওয়ার ঘটনাটি ঘটল ইংল্যান্ডের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। শিরোপা নির্ধারণের ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। এবারও টাই! ৬ বলের ম্যাচের শেষে নিউজিল্যান্ডের নিষ্ঠুর হার। তাদের চেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারায় স্বাগতিক ইংল্যান্ডের হাতেই উঠল বিশ্বকাপের শিরোপা। শেষ হল ছয় সপ্তাহের ক্রিকেট মহাযজ্ঞ।
এবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচটি নির্ধারিত ৫০ ওভারে টাই হয়। নিউজিল্যান্ডের ২৪১ রানের জবাবে ২৪১ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ড। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সুপার ওভারও টাই হয়।
ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ১৫ রান করে। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংলিশ বোলার জফরা আর্চারের ওভারের প্রথম পাঁচ বলে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ১৪ রান। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২ রান। মার্টিন গাপটিল এক রান সম্পন্ন করে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হলে সুপারও ওভারেও টাই হয়।
যেখানে ইংল্যান্ডের সমান ১৫ রান করেও ম্যাচে বাউন্ডারি সংখ্যা কম থাকার কারণে হেরে যায় উইলিয়ামসনের দল।
ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে কৌতুহল ছিল আরও একটি সুপার ওভার বা যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় কিনা? কিন্তু সুপার ওভারের নিয়মানুসারে ইংল্যান্ডই চ্যাম্পিয়ন হয়।
চলুন জেনে নেই সুপার ওভার টাই হলে আইসিসির চূড়ান্ত নীতিমালা-
১. মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকাবে, তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
২. যদি এক্ষেত্রেও দু’দলের পারফরমেন্স সমান হয় তখন যে দল শেষ বলে সবচেয়ে বেশি রান নিয়েছে তারা জয়ী হবে।
৩. যদি উপরে উল্লিখিত দুটি বিষয়েও দু’দলের পারফরমেন্স একই ধরনের হয় তখন মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে কম নো বল দিয়েছে তারা বিজয়ী হবে।
ইংল্যান্ডকে যে কারণে জয়ী করা হলো:
সুপার ওভারের নিয়মানুসারে মূল ম্যাচে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে সেই বিবেচনায় ফল নির্ধারিত হবে। সেই হিসেবে নিউজিল্যান্ড চার মারে ১৪টি আর ছক্কা ২টি। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড চার মারে ২২টি আর ছক্কা হাঁকায় ২টি।
নিউজিল্যান্ডের তুলনায় ৮টি চার বেশি হাঁকানোয় নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় বিশ্বকাপের স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল ৩০ মে, ওভালে ইংল্যান্ড-সাউথ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে। ৪৮ ম্যাচ দৈর্ঘ্যের মহোৎসবের সমাপ্তি টানা হল ‘ক্রিকেটের জন্মভূমি’ খ্যাত লর্ডসে।